নয়াদিল্লি: দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা নিজেই যেন এক মূর্তিমান সাজা। ৩০ বছরের পুরনো মামলার নিষ্পত্তি করতে গিয়ে অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে স্বামীর সাজা ৩০ বছর বাদে খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে ‘সাজা’ হিসেবে বিবেচনা করা যেতেই পারে। এক্ষেত্রে বাস্তবে তেমনটাই ঘটেছে। ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৩০৬ ধারা অনুসরণে আবেদনকারীকে সাজা দেওয়া যে অনুচিত, সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আমাদের মাত্র ১০ মিনিট লাগল। মন্তব্য বিচারপতি জিবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের।
আরও পড়ুন: মিশেল ওবামার নাম উঠছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
স্বামী ও তার নিকটজনেরা তাকে অর্থের জন্য প্রতিনিয়ত হেনস্থা করতো। ১৯৯৩ সালে আত্মহত্যার পূর্বে অভিযোগ করে যান স্ত্রী। সেই সূত্রে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হয় এফ আই আর। ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালত স্বামীর সাজা ঘোষণা করে। ২০০৮ সালে হাইকোর্ট সেই রায় বহাল রাখে। স্বামী তা চ্যালেঞ্জ করেন সুপ্রিম কোর্টে।
আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার কারণ হিসেবে শুধুমাত্র হেনস্থা করার অভিযোগ যথেষ্ট নয়। অভিযুক্ত সেখানে সরাসরি কোন কিছু করেছেন, বিশেষত আত্মহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে, সেটা দেখাতে হবে। আত্মহত্যায় অভিযুক্তের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আছে, এটা ধরে নেওয়া যায় না। বিষয়টা দৃশ্যমান এবং সন্দেহাতীত হতে হবে। অভিমত দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও খবর দেখুন